জেলা

সাইক্লোনে টেলি যোগাযোগ অক্ষুন্ন রাখতে স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করবে হুগলি জেলা প্রশাসন, ৭ হাজারের বেশি মানুষকে সরানো হল নিরাপদ জায়গায়।

শ্যামলেন্দু গোস্বামীঃ- আমপান মোকাবিলায় তঠস্থ হুগলি জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার প্রায় ৭ হাজারের বেশি মানুষকে সরানো হয়েছে কাঁচা বাড়ি থেকে। তাদের রাখা হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। বিদ্যুৎ দফতর, স্বাস্থ্য দফতর, সেচ, কৃষি, দমকল, পুলিশ সহ ২৪টি দফতরকে এ্যালার্ট করা হয়েছে। এমনিতেই জলপথ পরিবহণ বন্ধ রয়েছে লকডাউনের ফলে। নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে জন সাধারণকে। ঝড়ের সময় বাইরে থাকতে বারণ করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে জেলায়। ত্রিপল, শুকনো খাবার, জল সময় মতো ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। হুগলি জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও তাঁর অফিস থেকেই সব নজরদারি করবেন। চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও। বিপদ হলে হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করা যাবে। কন্ট্রোল রুমের টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০৩৪৫৬১৩৫ / ০৩৩-২৬৮১২৬৫২ ।

ত্রাণ সামগ্রী বিলির ক্ষেত্রেও বন্টনে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে ব্যস্ততা তুঙ্গে।হাওয়া অফিসসূত্রে জানানো হয়েছে, হুগলিতে ১১০-১২০ কিমি বেগে আমপান আছড়ে পরবে । সুপার সাইক্লোন আটকানো যাবে না, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি যতটা সম্ভব আটকানো যায় সেটাই মূললক্ষ্য হুগলি জেলা প্রশাসনের। জেলা প্রশাসনসূত্রে খবর, হুগলি জেলায় ৪৭টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ১৩৩৭০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে ৭১১৫ জনকে ত্রাণ শিবিরে সরানো হয়েছে। ১৪৮ জন সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ারকে নিযুক্ত করা হয়েছে। এনডিআরএফ-এর একটি দল পুরশুড়া রেসকিউ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। দুটি স্পিড বোটকে শ্রীরামপুর ও চন্দননগরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুই হাজারের বেশি ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। জেলা হেডকোয়াটার ছাড়াও চারটি মহকুমা ও আঠেরোটি ব্লকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সাইক্লোনে টেলি যোগাযোগ অক্ষুন্ন রাখতে ব্যবহার করা হবে স্যাটেলাইট ফোন। সবমিলিয়ে আমফানে মানুষের পাশে হুগলি জেলা প্রশাসন।

Loading

Leave a Reply