জেলা

করোনাকে জয় করার জন্য এক বিশেষ পদ্ধতির সিদ্ধান্ত নিল বাঁকুড়া।

আই.সি.এম.আরের অনুমতি মিলেছে। এবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহায়তায় ‘প্লাজমা’ দানে এগিয়ে এলেন কোভিড জয়ীরা। সোমবার বাঁকুড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচির সূচনক হল।

করোনা মুক্তির ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে বহুচর্চিত নাম প্লাজমা থ্যারাপি। যেখানে মূলত করোনা জয়ীদের রক্ত সংগ্রহ করে সেখান থেকে আলাদা করে নেওয়া হচ্ছে প্লাজমা। ওই প্লাজমায় করোনাকে কাবু করার জন্য উপযোগী অ্যান্টিবডি রয়েছে। এই ধারনা থেকেই প্লাজমা থেরাপি শুরু হয়েছে। এবার সেই ঘটনার অংশীদারি হল দক্ষিণের এই জেলাও। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, যে সমস্ত করোনা আক্রান্ত রোগী ২৮ দিন আগে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, শুধুমাত্র তারাই প্লাজমা দানের সুযোগ পাবেন। সংগৃহীত প্লাজমা কোভিডে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় কাজে লাগানো হবে।

এদিন প্লাজমাদানকারী সিমলাপালের বনকাটা গ্রামের গঙ্গাহরি সিংহ মহাপাত্র বলেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর আমি নিজে সহ পরিবারের সবাই ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। পরে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরি। প্লাজমা দান করা যাবে খবর পেয়ে আর দেরি করিনি। এখানে চলে এসেছি। তার শরীরে তৈরী প্লাজমা দিয়ে যদি কেউ সুস্থ হয় তার চেয়ে ভালো কিছু হবে না ভেবেই এই সুযোগ তিনি হাতছাড়া করতে চাননি বলে জানান।

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ পার্থ প্রতিম প্রধান এ বিষয়ে বলেন, যে সমস্ত করোনা আক্রান্ত রোগীরা ২৮ দিন আগে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন তারা নিজেদের প্লাজমা দান করছেন। রাজ্যের নির্দেশ ও আই.সি.এম.আরের গাইড লাইন মেনে এই কাজ হচ্ছে। সংরক্ষিত প্লাজমা আগামী দিনে সে সমস্ত রোগীর প্রয়োজন হবে তাদের দেওয়া হবে। এখনও যেহেতু ভ্যাকসিন আবিস্কার হয়নি, সে কারণে অ্যান্টিবডির অন্যতম উৎস প্লাজমা। কোভিড আক্রান্ত হয়ে সুস্থ ব্যক্তিদের শরীরেই একমাত্র এই অ্যান্টিবডি তৈরী হয়। গুরুতর অসুস্থদের শরীরে প্লাজমা প্রবেশ করালে সুস্থতার সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যায়। তিনি আরও বলেন, যেভাবে রক্ত সংগ্রহ করা হয় সেভাবেই প্লাজমা সংগ্রহ হবে। পরে বিশেষ পদ্ধতিতে রক্ত থেকে প্লাজমা আলাদা করা হবে। সংগৃহীত প্লাজমা মাইনাস ৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ রাখা হবে। আরও পরে প্রয়োজন অনুসারে সেই প্লাজমা ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে কলকাতার বাইরে সম্ভবত বাঁকুড়াতেই প্রথম এই প্লাজমা সংগ্রহের কাজ শুরু হল বলে তিনি জানান।

Loading

Leave a Reply