ঢাক ঢোল পিটিয়ে জনসভার আয়োজন করা হলেও মাঠ ভরাতে ব্যর্থ শাসক দল। একপ্রকার ফাঁকা মাঠেই জনসভা করলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সহ জেলার একাধিক শাসক দলের তাবর নেতা । মঙ্গলবার হুগলীর পুরশুড়ার মসীনান ময়দানে তৃণমূলের জনসভার চিত্রটা ঠিক এই রকম। যা শাসক দলকে অনেকটা অস্বস্তিতে পরতে হল বলে মনে করছেন অনেকে। তবে কি কারনে এই জনসভায় ভাটা? দলের গোষ্ঠী কোন্দল না তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় মূল কারণ তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক মহল। এমনকি এই জনসভার ফাঁকা মাঠ ভরাতে মূল মঞ্চ থেকে নিচে নেমে মঞ্চের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা স্থানীয় নেতাদের মাঠের সামনে যাওয়ার নির্দেশ দেন জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব।
তবে এদিন জেলা সভাপতির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র, আরামবাগ সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, বিধায়ক বেচারাম মান্না, প্রবীর ঘোষাল সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব। তবে এদিন দেখা মেলেনি একাধিক পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ ব্লকের নেতাদের। যা নিয়ে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে নেতৃত্বকে।
প্রসঙ্গত,এই বিধানসভার ১৫ টি পঞ্চায়েতের প্রায় ৩০০ টি বুথ তৃণমূলের দখলে। তবে এই বিধানসভায় গত লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ২৮ হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। তার উপর আবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও কপালে চিন্তা বাড়াচ্ছে তৃণমূলের। যদিও এবিষয়ে জেলার তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক বেচারাম মান্না , ফাঁকা ময়দানের কথা অস্বীকার করার পাশাপাশি তিনি বলেন, কাজের সময় আশাজনক জমায়েত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এই ইস্যুকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। আরামবাগ বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন আসলে তৃণমূলের সাথে মানুষ নেই। এত বড় বড় নেতা মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে একপ্রকার ফাঁকা মাঠে জনসভা করতে হল তৃণমূলকে। আসলে মানুষ তৃণমূলের থেকে যে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তা আবারও প্রমাণ হল।