রাজ্য

করোনা ভাইরাসের কারণে বাতিল ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব।

এ বছরের হোলির দিন সকালে শান্তিনিকেতনে ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল লাগলো যে দোল’ এ দৃশ্য দেখা যাবে না। খোঁপায় পলাশ বেঁধে উচ্ছল তরুনীর রাঙা হয়ে ওঠার দৃশ্য চোখে পড়বে না। বন্ধ হয়ে গেল বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব। উৎসব বন্ধের কারণ হিসাবে জানা গেছে ইউজিসি থেকে একটি অর্ডার এসেছিল সকালে। যেখানে বলা হয়েছিল যাতে কোনভাবেই প্রচুর মানুষ একসাথে জমায়েত না হয়।(ছবি সংগৃহীত)

কারণ কোন মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাস আছে তাই ভিড়ের মধ্যে বোঝা সম্ভব নয়। তাই এই প্রচেষ্টা। এরপরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কর্মসমিতির বৈঠক ডাকে। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বসন্ত উৎসব বাতিল করা হবে। এই প্রসঙ্গে বসন্ত উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন তারা প্রথমে ভেবেছিলেন সকালের অনুষ্ঠান করে বাকি অনুষ্ঠান বাতিল করবেন। কিন্তু সকালের অনুষ্ঠানে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। খুব একটা সহজ কাজ নয় এই ভির এড়ানো। আর এই ঘটনার সাথে জড়িয়ে আছে মানুষের জীবনের প্রশ্ন। সেই কারণে এই বছর অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলছেন এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে করে ঐতিহ্য কে বাঁচাতে গিয়ে মানুষের ক্ষতি করে কিছু করা সম্ভব ছিল না। সেই কারণে ইউজিসির অনুরোধকে তারা সঠিক বলে মনে করেছেন। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই এই অনুষ্ঠান করার জন্য। অনুষ্ঠান হলেই লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ আসবে। সেই কারণে অনুষ্ঠান বাতিল।(ছবি সংগৃহীত)

রবি ঠাকুরের দীর্ঘদিনের বসন্ত উৎসবের এই প্রথম ছেদ পড়লো। রাজ্যজুড়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন। সকলকে কিভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তাও শিখিয়েছে। শুধু বিশ্বভারতী নয় আপাতত যেখানে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা সেই সমস্ত জায়গা এড়িয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছেন বিশেষজ্ঞরা।(ছবি সংগৃহীত)

Loading

Leave a Reply