রাজ্য

খোদ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সিপিএমের মহিলা বিধায়ককে রেপ এর হুমকি তৃণমূল বিধায়কের।

রাজনৈতিক নেতাদের কুকথার প্রয়োগ নতুন কিছু নয়। কিন্তু সংবিধানের মন্দির বলে পরিচিত বিধানসভা, লোকসভা বা সাংসদে যখন কুকথায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠে তখন গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে। গতকাল বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য চলাকালীন দুই তৃণমূল বিধায়ক মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। মূল বিষয় ছিল অশালীন শব্দ উচ্চারণ। সিপিএম বিধায়ক এর প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন যে দলের যেমন রুচি তাদের ভাষা ও তেমন। এই বক্তব্যের পরই ওই তৃণমূল বিধায়ক সিপিএম বিধায়ক কে বলেন এবার তোমার রেপ হবে। বিধানসভার মধ্যে দাঁড়িয়ে একজন মহিলা বিধায়ককে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে ঘটনা নজিরবিহীন। ঘটনার সূত্রপাত শনিবার বিধানসভায় বাজেট সংক্রান্ত আলোচনা। বক্তব্য রাখছিলেন মেমারির তৃণমূল বিধায়ক নার্গিস বেগম। বিধানসভা সূত্রে খবর, তিনি অশালীন ভাষা প্রয়োগ করছিলেন। তাতে আপত্তি তোলেন ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র।

এরপর জামুরিয়ার সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খান মন্তব্য করেন, “যাদের যেমন সংস্কৃতি, তাদের তেমন ভাষা।” এই মন্তব্য ঘিরে তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বাকবিতণ্ডার মধ্যে নার্গিস বেগম জাহানারার উদ্দেশে বলে ওঠেন, “তোমার ধর্ষণ হবে।” এতেই আগুনে ঘি পড়ে। এমন কুরুচিকর মন্তব্য শুনে জাহানারা খান বিধানসভার মধ্যেই কেঁদে ফেলেন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে তিনি স্পিকারের কাছে নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে নালিশ করেন।তৃণমূল বিধায়ক নার্গিস বেগমের এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। তিনি প্রত্যেক বিধায়ককে নির্দেশ দেন, নিজেদের আচরণ এবং ভাষা সংযত করার। স্পিকার নার্গিস বেগমকে নির্দেশ দেন, সিপিএম বিধায়কের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাওয়ার। চাপে পড়ে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। বামেদের দাবি তৃণমূলের উচিত ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এক মহিলা বিধায়ককে সরাসরি ধর্ষণের হুমকি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।

Loading

Leave a Reply