লক্ষ্য ছিল হনুমানকে ঘুম পাড়ানো। কিন্তু ভুলবশত ঘুমপাড়ানি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল গোরু। বন কর্মীদের এই গুলি ছোঁড়ার বহর দেখে কার্যত তাজ্জব এলাকার মানুষ। কয়েকদিন ধরে অনুমানের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও এদিন ঘুমন্ত গোরু দেখতে হনুমান ছেড়ে ভিড় জমায় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার নানুরের শেরপুর গ্রামে এমন অভিনব ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। প্রসঙ্গত কয়েক দিন ধরে এই এলাকায় তাণ্ডব করে বেড়াচ্ছিল হনুমানটি। বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। বনদপ্তর দুদিন ধরে চেষ্টা চালিয়েও হনুমানটিকে বাগে আনতে পারেনি। শেষমেষ বর্ধমানের বিশেষ ট্রাংকুলাইজার টিমের দ্বারস্থ হতে হয়। তাদের টিম এদিন গ্রামে আসে। বনদপ্তরের একদল কর্মীর পাশাপাশি নানুর থানার পুলিশ এবং বিডিও উপস্থিত ছিলেন। তার পরেই শুরু হয় হনুমান পাকড়াও অভিযান। গ্রামের মানুষও তখন বনদপ্তরের হনুমান ধরা দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন।
এলাকায় এমন অবস্থায় গাছ থেকে লাফিয়ে বেড়াতে শুরু করে। গ্রামের এক পাশে দাঁড়িয়েছিল হীরু শেখের গোরুটি। হনুমান লক্ষ্য করে ঘুম পাড়ানি গুলি ছোঁড়েন তাঁরা। কিন্তু সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গোরুটির পায়ে লাগে। আর তাতেই ক্রমশ ঝিমোতে শুরু করে গোরুটি। আস্তে আস্তে সেটি ঘুমিয়ে পড়ে। যা দেখে রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন থাকেন গোরুর মালিক। তিনি বনকর্মীদের উদ্দেশ্যে চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন। যদিও অবশেষে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এরপর গোরু ছেড়ে হনুমান ধরায় মনোনিবেশ করেন সকলে। অবশেষে কাকুরিয়া গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় লক্ষ্যভেদে সফল হয় বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি করে ধরা হয় হনুমানটিকে।