জেলা

তৃণমূল সুপ্রিমোর কড়া নির্দেশের পরই পুজো উদ্বোধনে হুগলিতে বিবদমান দুইগোষ্ঠী একছাতার তলায়।

কয়েকদিন ধরে হুগলি জেলা তৃণমূলে বোধনের আগে বিসর্জনের সুর বেজে ওঠে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে হয় স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিকে। জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের বিরুদ্ধে একেরপর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন একাধিক বিধায়ক ও সংসদ। আর এর জেরে বুধবার বিক্ষুব্ধ নেতৃত্বদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন যুব সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি ও সুব্রত বক্সী। ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট গুরু প্রশান্ত কিশোরও। সূত্রের খবর, বৈঠক চলাকালীন অভিষেক ব্যানার্জীর ফোনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন করে জানান জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না। আগামীদিনে এক হয়ে সকলকে কাজ করার করার নির্দেশ দেন। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধন দেখা গেল জেলা সভাপতি সাংসদ ও বিধায়কদের একই মঞ্চে থাকতে। জেলায় যে আর কোনও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই তা নেত্রীর কাছে বার্তা দিতে চাইলেন জেলা নেতৃত্ব।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালে একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন। তালিকায় ছিল শ্রীরামপুরে গান্ধী ময়দানে আয়োজিত শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জির পুজো। এদিনের ভার্চুয়াল পুজো উদ্বোধনে একই মঞ্চে দেখা গেল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জির সাথে, বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত এবং তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবকে।

কয়েকদিন আগে নাম প্রকাশ না করে জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের বিরুদ্ধে তোপ দাগা হুগলি জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত জানান, তাদের মধ্যে কোনও বিবাদ নেই। মিডিয়াই চেষ্টা করছে বিবাদ তৈরি করতে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বো। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জেলার আঠারোটি বিধানসভায় নেত্রীকে উপহার দেব আমরাই।

যদিও জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব জানান, আমি দলের একজন বিশ্বস্ত সৈনিক। তাই দল যেমনভাবে নির্দেশ দিয়েছে তেমনভাবেই কাজ করেছি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে দিলীপবাবুর কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, সব কিছু মিডিয়ার জন্য নয়। একটি ছাতার তলায় সব নেতৃত্বদের দেখা যাওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে নিচুতলার কর্মীরা।

Loading

Leave a Reply