৩/৩ ফুটের টয়লেটেই কেটেছে দিন রাত। সেখানেই গত দেড় বছর ধরে বন্দি ছিলেন এক মহিলা। অবশেষে তাঁকে উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার হরিয়ানার পানিপতের ঋষিপুর গ্রাম থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে।মঙ্গলবার পুলিশের কাছে খবর যায় যে ওই মহিলাকে তাঁর স্বামী বন্দি করে রেখেছে। এরপরই তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশের দল। সেখানে গিয়ে দেখা যায় বাথরুমের মেঝেতে শুয়ে আছে ওই মহিলা। এমনকি শরীর এত দির্বল যে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা পর্যন্ত নেই।
এখানেই নাকি তাঁকে বন্দি করে রেখেছিল তাঁর স্বামী নরেশ কুমার। এদিন নরেশ কুমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে কোনোক্রমে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত তাঁর আত্মীয়রা তাঁর দেখভাল করছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ১৭ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। এক মেয়ের বয়স ১৫ বছর ও ১৩ ও ১১ বছরের দুই ছেলে। তাঁর তিন সন্তানের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ওই মহিলার স্বামীর দাবি, তাঁর স্ত্রী নাকি মানসিক ভারসাম্যহীন। যদিও এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনও প্রমান দেখাতে পারেননি তিনি। পুলিশ জানিয়েছে ওই মহিলা প্রত্যেককে চিনতে পারছেন ও সব প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারছেন। তাঁকে দেখে মানসিক ভারসাম্যহীণ বলে মনে হচ্ছে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে পুলিশ। ৪৯৮ এ ও ৩৪২ ধারায় মামলা হয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।