জেলা

ভোলা মাছই ভোল পাল্টে দিলো বৃদ্ধার। আচমকাই কপাল ফেরে হতদরিদ্র বৃদ্ধা হয়ে উঠলেন লাখোপতি।

চলতি বছরে অন্যদের মতোই আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন পুষ্প কর। দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি থাকতেন একটি মাটির বাড়িতে। কিন্তু হঠাৎ করে এভাবে ঈশ্বর তাদের উপর সদয় হবেন, তা কোনোদিন ভাবতে পারেনি তারা। এক দিনেই লক্ষাধিক টাকা পেয়ে যেন হতবাক হয়ে যান পুষ্প দেবী। কিভাবে এই টাকাটি খরচ করবেন তা যেন বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। ধরতে গিয়েছিলেন চুনোপুটি, জালে ধরা পরল রাঘববোয়াল। এটি মাছ তাকে রাতারাতি বড়লোক করে দিল। বয়সের ভারে মাছ ধরা প্রেসার হলেও গভীর সমুদ্রে যাবার সামর্থ ছিলনা তার। তাই বাড়ির পাশে নদীর খাড়িতে জাল ফেলে মাছ ধরতেন উত্তর ২৪ পরগনার সাগরের বাসিন্দা পুষ্প কর। প্রতিদিন যে ক’টি মাছ জালে ভাড়া দিতে, সেই কটি নিয়েই দিন গুজরান হতো তার।

তবে আচমকা একটি মাছ তার জীবন পাল্টে দেবে তা হয়তো তিনি কোনদিন ভাবতেও পারেননি। রাতারাতি লাখপতি হয়ে গেলেন এই বৃদ্ধা। অন্যান্য দিনের মতোই খাড়িতে জাল ফেলে এসেছিলেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ে জাল তুলতে গিয়েছিলেন তিনি। প্রথমে একটু ভারী লাগলেও তেমন কিছু মনে হয়নি তার। কিন্তু জাল টানতে রীতিমতো হতবাক হয়ে যান বৃদ্ধা। ততক্ষণে তিনি বুঝতে পেরেছেন, কোন চুনোপুটি নয়, তার জালে ধরা দিয়েছে একটি রাঘববোয়াল। কিন্তু রাঘববোয়াল টিকে একা টেনে তোলার সাধ্য ছিল না তার। তাই তাড়াতাড়ি আশে পাশের বেশ কয়েকজনকে জোগাড় করে নিয়ে এলেন বৃদ্ধা। তাদের সহায়তায় জাল টেনে ডাঙ্গায় তুলে আনা হলো।

জালটি ডাঙ্গায় তুলতে দেখা যায়, জালে ধরা পড়েছে একটি বড় সাইজের ভোলা মাছ। শুধু বড় বললে হয়তো ভুল বলা হবে, প্রায় ৬০ কেজি ওজনের একটি বিশাল আকার ভোলা মাছ ধরা দিয়েছে জালে। খবর পাওয়া মাত্রই আশেপাশের গ্রাম থেকে এলাকার মানুষ ভিড় করে মাছটিকে দেখার জন্য। পরেরদিন ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই কাকদ্বীপ বাজার এর আরদের মালিকেরা পৌঁছে যান বৃদ্ধার বাড়িতে। অনেক দর কষাকষির পর অবশেষে ৬০০০ টাকা কিলো হিসাবে বিশাল আকার মাছটি বিক্রি করে দেন বৃদ্ধা।
তবে কিভাবে খাড়ির মধ্যে এত বড় মাছ চলে এলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মনে করা হচ্ছে যে, জাহাজের ধাক্কায় মাছটি হয়তো বাড়ির দিকে চলে এসেছিল। না হলে এত বড় সামুদ্রিক মাছ খাড়ির জলে পাওয়া যায় না।

Loading

Leave a Reply