জেলা

লকডাউনে থানাতে রান্না করে দুঃস্থদের নিজে হাতে খাওয়ালেন ওসি।

লকডাউনে এলাকা শান্ত। পুলিশের কাজ কম বললে ভুল হবে। থানায় থানায় পুলিশের উদ্যেগে চলছে গরিব মানুষদের খাদ্য দ্রব্য বিতরণ করার কাজ। সব থানাগুলি থেকে শুকনো খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হলেও ব্যতিক্রম ছবি দেখা গেল হুগলির দাদপুর থানায়। এই থানার ওসি বাপি হালদারের উদ্যেগে থানার মধ্যে চলছে রান্নার কাজ। খুবই অসহায় মানুষদের জন্য লকডাউনের পর থেকে রোজ বিভিন্ন আইটেমের রান্না করা হচ্ছে দাদপুর থানায়। ওসির উদ্যোগে এই কাজে এগিয়ে এসেছেন অন্যান্য পুলিশ কর্মী থেকে শুরু করে সিভিক ভলেন্টিয়ার রা। ওসি বাপিবাবু নিজে হাতে রান্না করা খাবার পরিবেশন করছেন ফুটপাত বাসিন্দাদের। হুগলিতে একমাত্র এই থানাতে চলছে রান্নার আয়োজন।

কিন্তু কেন রান্না করে দেওয়া হচ্ছে?এর উত্তরে বড়বাবু জানান অনেকের রান্না করার ক্ষমতা নেই। গ্যাস নেই, উনুন নেই, শুকনো খাবার দিলে তারা খেতে পারবে না। তাই এই আয়োজন। রোজ দেড়শো মানুষের জন্য রান্না করা হচ্ছে। রবিবারের খাবারের মেনুতে ছিল ভাত, আলু, সোয়াবিনের তরকারি আর ডিম। খুবই গরিব পরিবার থেকে আজ ওসির চেয়ারে বাপি হালদার। নিজে মুখ থেকে বলতে চাইলেন না যে কিভাবে এই প্রেরণা পেলেন।

প্রসঙ্গত, দাদপুর থানার ওসি হওয়ার আগে বাপি বাবু গোঘাট থানার অন্তর্গত বদনগঞ্জ বিট হাউসের ইনচার্জ-এর দায়িত্বে সামলেছিলেন। সেই সময় পুলিশের দায়িত্ব সামলেও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এলাকার দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে বিনামূল্যে কোচিং সেন্টারে করেছিলেন তিনি। ফাঁড়ি চত্বরেও নিয়ম করে পড়াতেন তিনি। সবমিলিয়ে পুলিশের এই উদ্যেগ নজির সৃষ্টি দাদপুর এলাকা।

Loading

Leave a Reply