জেলা দেশ রাজ্য

লাদাখে চিনা আগ্রাসনের প্রতিবাদে বহরমপুরে বিক্ষোভ, মৌন মিছিল কংগ্রেসের, মোমবাতি হাতে অধীর

রাজেন্দ্র নাথ দত্ত :মুর্শিদাবাদ : চিনা সেনার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবার ক্ষোভের আগুন জ্বলল বহরমপুরে । চিনের রাষ্ট্রপতির কুশপুতুলে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মী-সমর্থকরা । সড়কের উপর দাহ করা হল সেই কুশপুতুল।লাদাখ ইশু নিয়ে বিক্ষোভ দেখান হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মী-সমর্থকরা। শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আক্রমণের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে সরব হন তাঁরা । আজ বহরমপুরে ভারতীয় সেনাদের উপর চিনা সেনার আক্রমণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মী ও সমর্থকরা।চিনের রাষ্ট্রপতির কুশপুতুলে আগুন দিয়ে চলে এই বিক্ষোভ । ওঠে চিন বিরোধী স্লোগানও।

তুমুল বিক্ষোভে কার্যত উত্তাল হয় ওঠে ।লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান । পালটা চিনকে শিক্ষা দেওয়ার দাবিও ক্রমশ জোরালো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে । ইতিমধ্যে চিনা আগ্রাসনের নিন্দায় দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দিয়ে আন্দোলনও সংগঠিত হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের তরফে । প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে চিনের রাষ্ট্রপতির কুশপুতুল দাহ করে গর্জে উঠেছে দেশবাসী । বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও । গতকালের মতো আজও ক্ষোভের আগুন জ্বলল রাজ্যে । বাদ গেল না মুর্শিদাবাদ জেলাসদর শহর বহরমপুর । চিনের রাষ্ট্রপতির কুশপুতুলে আগুন দিয়ে সরব হন তাঁরা । সেই সঙ্গে চিন বিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয় । আন্দোলনের পাশাপাশি শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানানো হয় । আন্দোলনের জেরে সাময়িক থমকে যায় যানচলাচলও ।

অন্যদিকে আজ মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মৌন মিছিল কংগ্রেস পার্টি অফিস থেকে বের হয়ে বহরমপুর শহর পরিক্রমা করে। মোমবাতি হাতে মিছিলে নেতৃত্ব দেন বহরমপুরের সাংসদ ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী, ও রানীনগরের বিধায়িকা ফিরোজা বেগম।
এই বিষয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “চিনের বর্বরোচিত এই হামলা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না । যেভাবে আমাদের ২০ জন বীর জওয়ানকে হত্যা করা হয়েছে তা এককথায় নৃশংস । কাপুরুষের মতো রাতের অন্ধকারে চিনের সেনা হামলা চালিয়েছে । এই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধেই আমরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছি । প্রত্যেক দেশবাসীর মতো আমরাও চাই চিনকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হোক।

Loading

Leave a Reply