লকডাউন ও বেশ কয়েকদিন শিলাবৃষ্টির দরুন বিপর্যস্ত বাংলার কৃষককুল। তার মধ্যেই নতুন আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে উঠলেন আরামবাগ পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের চাষীরা। অভিযোগ, ডিভিসির ছাড়া জলে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ক্যানেলে জল বাড়তে শুরু করেছে। আর এর জেরেই দুশ্চিন্তা বাড়ছে চাষীদের। তারা বলছেন, ডিভিসির ছাড়া জলে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত অবস্থা হয়েছে তাদের। পাকা ধান মাঠে পড়ে রয়েছে। যা অবস্থা তাতে করে পাকা ধান আর বাড়িতে তোলা যাবে না। ভয়ঙ্কর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আরামবাগ পুরসভার নির্ভয়পুর,বাদলকোণা,সহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের মানুষ কৃষিনির্ভর। কয়েকশো একর জমিতে এখানে বোরোচাষ হয়। এমনিতে শিলাবৃষ্টি দরুন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার ওপর বেশ কয়েকদিন আগে থেকে ডিভিসি জল ছাড়তে শুরু করেছে। আর এর জেরেই ক্যানেল দিয়ে অতিরিক্ত জল বইতে শুরু করেছে। ক্যানেল উপচে ধান জমিতে জল ঢুকে যাচ্ছে। এমনিতেই ঝড়ে ধান মাটিতে নুইয়ে গেছে, আর মাঠে জল ঢুকে যাওয়ায় ধান গাছ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিজেদের স্বার্থে কোনওক্রমে তারা এই জল অন্য পথে বের করার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি জল যাতে সহজে নিষ্কাশিত হয় তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন চাষিরাই। তারা সমস্ত বিষয়টি নিয়ে উচ্চ প্রশাসনিক দরবার হয়েছেন। কিন্তু সেখান থেকে কোন সদুত্তর মেলেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চাষী বিবেকানন্দ কার্ফা।
একইভাবে মুখে হতাশার ছাপ পঙ্কজ যশ নামে আরও এক চাষীর। তিনিও বলছেন এই মুহূর্তে প্রশাসন যদি তাদের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে বাড়িতে আর ধান তোলা যাবে না। এমনিতেই লকডাউনের জেরে শ্রমিকের সংকট, তার উপর এই যন্ত্রণা তাদের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। তারা কোনওক্রমে জল বের করার চেষ্টা করছেন। কানা নদীতে তারা জমে থাকা জল নিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। যদিও প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি এই জল নাকি ডিভিসি থেকে ছাড়া হয় নি।এখন দেখার চাষিদের স্বার্থে কি পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন।