শুক্রবার একাধিক অভিযোগ তুলে মুখ্যসচিবকে জোড়া চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তার এরপরেই সমস্ত হাসপাতালের সুপারদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।এই বৈঠক থেকে একাধিক নির্দেশিকা দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও রোগীকে চিকিৎসা না করিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। রেফারের ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্সই রোগীকে পাঠাতে হবে। সমস্ত ডাক্তারকে পিপিই কিট পরতে হবে। এমনকী ডাক্তাররা যে সমস্ত জায়গা ব্যবহার করবেন সেগুলো রেগুলার স্যানিটাইজ করতে হবে। পাশাপাশি নমুনা সংগ্রহ করার ১২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের নিয়মিত মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভিজিট করতে হবে। মৃতদেহ সঙ্গে সঙ্গে ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং প্রটোকল মেনে তা করতে হবে যত শীঘ্র সম্ভব। একইসাথে এম.আর বাঙ্গুর হাসপাতালের দিকে বিশেষ নজরদারির কথা বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই, রাজারহাট কোয়ারেন্টিন সেন্টার ও বাঙুর হাসপাতালের অব্যবস্থার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে প্রথম চিঠিতে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন টেস্ট ঠিকমত হচ্ছেনা? টেস্ট করতে কেনই বা এত সময় লাগছে? সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে চিঠিতে।পাশাপাশি মৃতদেহ দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালের বেডে কেন রেখে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। একইসাথে কীসের ভিত্তিতে ডেথ অডিট কমিটি গঠন করা হয়েছে?