জেলা

আরামবাগে ষাটোর্ধ্ব মৃতার শরীরে করোনা পজেটিভ, চাঞ্চল্য

এবার আরামবাগে করোনার পজিটিভের হদিশ মিলল। রাজ্যজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও আরামবাগে এতদিন করোনার আগে আরামবাগে একাধিক জনের স্যালাইভা পরীক্ষা হলেও কোনো পজিটিভ পাওয়া যায়নি। বুধবার রাতে প্রথম পঞ্চায়েত দাদনপুর গ্রামের মৃত মহিলার পজেটিভ পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। ওই পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ৬৭ বছরের ভদ্রমহিলা দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নানান শারীরিক সমস্যায় ভোগেন।




মঙ্গলবার দুপুরে সাড়ে বারোটা নাগাদ ওই মহিলাকে আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। পরিবারের দাবি, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পর নাকি চিকিৎসকরা তাদের জানান ওনাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে হবে। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের গাড়িতে ব্লুভিউ নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করে। বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ হাসপাতালের গাড়িতে করেই তাদের স্থানান্তরিত করা হয়। বাড়ির লোকের ধারণা এদিন রাতেই মহিলা মারা যান। মহিলার সমস্যা থাকায় ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারতেন না। পরিবারের দাবি বেশ কয়েক বছর তিনি বাড়ির বাইরে কোথাও বের হননি। গত দুর্গাপুজোর পর থেকে পরিবারের কোনও সদস্য বাড়ির বাইরে যান নি। শেষ কয়েক মাস ধরে তাদের পরিবারের কেউ আসেনি। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের মানুষ বলছেন আমাদের সম্পূর্ণ পরিবার কোনভাবেই কারও সংস্পর্শে আসেন। তাহলে কিভাবে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এল তাদের ভুল হতে পারে, পুনরায় পরীক্ষার দাবি তুলেছেন তারা। এ বিষয়ে আরামবাগে মহকুমাশাসক নৃপেন্দ্র সিংয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই মহিলার নানান শারীরিক সমস্যা ছিল। মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান। উপসর্গ থাকায় নমুনা পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষার জন্য। রিপোর্টে পজিটিভ এসেছে।



জানা গেছে, ওই মহিলার খানাকুল ইলেকট্রিক চুল্লিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তবে। তার পরিবার দাবি করেছে তাদের এমনটাই জানানো হয়েছে মৃতদেহকে মর্গে রাখা হয়েছে। রাতে ছেলে ও বউমাকে কোভিড হাসপাতাল রাখা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় সিল করা হয়নি। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এখনও বাড়িতে আছেন। বিষয়টি জানাজানির পর আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে বেশ কয়েকজন কর্মীরা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। তাদের মূলত তাদের দাবি কোয়ারেন্টাইন, তাদের ও পরিবারের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আরামবাগে।


Loading

Leave a Reply