রাজ্য

‘আমফান’ নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর,সেনা ও উপকূল রক্ষা বাহিনীকে বিশেষ সতর্কতা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

এবার ঘূর্ণিঝড় আমফান নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেইসঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা দল, সেনা ও উপকূল রক্ষীবাহিনীকে বিশেষ সতর্ক করা হল। শনিবার এই পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব গৌবা আলোচনা করেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটি। সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রক, মৌসম ভবন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরাও ছিলেন এই বৈঠকে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশার মতো রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকরাও ভিডিও কনফারেন্সে হাজির ছিলেন সেখানে। এই বৈঠকে বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। মৌসম ভবন এই ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে যে পূর্বাভাস দিয়েছে সেই সম্পর্কে বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রসচিব।

এই বৈঠকে রাজ্য সরকারগুলির তরফে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। রাজ্যগুলির তরফে এও জানানো হয়, এই সময় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। যাঁরা সমুদ্রে আছেন, তাঁদের রবিবারের মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থেকে উপকূলবর্তী বাসিন্দাদের সুরক্ষিত রাখতে সাইক্লোন শেল্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে রাজ্যগুলি।

প্রসঙ্গত, শনিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে। অবশ্য স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগে কিছুটা শক্তি হ্রাস করবে এই ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু তারপরেও যা ক্ষমতা থাকবে তাতে রাজ্য, বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে ভারী ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই পূর্বাভাস নিয়েই আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। কেন্দ্রের তরফে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, সেনাবাহিনী ও উপকূল রক্ষীবাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৈরি থাকার জন্য। যে কোনও পরিস্থিতিতে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের। রাজ্যগুলিকেও বলা হয়েছে, তাঁদের ঠিক ঠিক সময়ে তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কোনও রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতি হলে ত্রাণের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কোনও সমস্যা হলে রাজ্যের তরফে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করার কথাও বলা হয়েছে।

Loading

Leave a Reply