জেলা

করোনা আবহে ছেলের অন্নপ্রাশন পালন ভবঘুরেদের সাথে।

করোনা ভাইরাস লকডাউনের জেরে পাল্টে গেছে ভবঘুরে বস্তিবাসীর জীবন যাত্রা। ভাইরাসের আতঙ্কে ভয়ে কাঁটা গোটা দেশ। নিশ্চিয়তা নেই খাদ্যের।এমন পরিস্থিতিতে এক দম্পতি নিজের ছেলের অন্নপ্রাশন পালন করলেন অনাহার ভবঘুরে দুস্থ গরিব মানুষদের নিয়ে। করোনা ভাইরাস মন খারাপের সময়ে এক মুঠো আনন্দ দিতে এগিয়ে এলেন পুরশুড়ার ধাপধারা এলাকার দম্পতি স্বপন সরকার ও স্ত্রী সুপ্রিয়া সরকার। এক মেয়ে সম্পূর্না সহ আর এক আত্মীয়কে নিয়ে ৪ জন মিলে তারকেশ্বর এলাকার রেল স্টেশন চত্বর ও দুধপুকুর সংলগ্ন স্থানে ছোট্ট শিশু “সিভান্স”দুধ ছেড়ে প্রথমবার খেল ভাত। আর তা সাক্ষী রইল বেশ কিছু রেল স্টেশন চত্বরে ঘুরতে থানা কিছু অসহায় বস্তিবাসী। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে তারকেশ্বর হনুমান ঘাট চত্বরে ২০০ গরিব দুঃস্থদের খায়ানোর ব্যবস্থা করলে।করোনা ভাইরাসে সচেতনতা গড়তে দেওয়া হয় একটি করে মাস্ক। দুপুর বেলায় গরম ভাতের সাথে ডাল,পটল চিংড়ি,পায়েশ আর রসগোল্লা পাতে পড়তেই কয়েকদিনের করোনা আতঙ্কে থাকা অসহায় মানুষগুলোকে যেন সত্যিই মুখে খুশির ছাপ। সাথে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার একটু মিনতি কারণ বাড়িতে আর একজন সদস্য আছে তাই।



দেশজুড়ে লকডাউনের জেরে বেশ সমস্যায় দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো।বিভিন্ন ব্যক্তিগত, সামাজিক সংগঠন, ক্লাব, প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দম্পতির এই মানবিক মুখ,আত্নীয় পরিজনদের ভিড় এড়িয়ে অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ায় মন খারাপ না করে অসহায় মানুষের পাশে থাকতে গরিবদের সাথে এমন একটি বিশেষ বিপদে সাথ দেওয়া বেশ প্রশংসনীয় বলেই মনে করছেন সাধারন মানুষ।




পেশায় ব্যবসায়ী স্বপন সরকার বর্তমানে তারকেশ্বর ১০ নম্বর ওয়ার্ডে জয় কৃষ্ণবাজার এলাকার আবাসনে থাকেন। স্বপনবাবু বলেন, ছেলের অন্নপ্রাশন মহাধুমধাম সাথে পালন করা হবে। সব পরিকল্পনা থাকলেও দেশজুড়ে এমন মহামারির মুহূর্তে জমায়েত করে অনুষ্ঠান করা যাবে না। তাই সব পরিকল্পনা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিলেন তারা। আগামী দিনে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আরও কিছু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন স্ত্রী সুপ্রিয়াদেবীও।


Loading

Leave a Reply