জেলা

কেতুগ্রামে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়তেই ব্লকজুড়ে স্যানিটাইজেশনের উদ্যোগ

কেতুগ্রামে করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলার পর ব্লকের সমস্ত জায়গায় জীবাণুনাশক দিয়ে স্যানিটাইজেশন করতে চলেছে ব্লক প্রশাসন। প্রতিটি পঞ্চায়েতের গ্রামসম্পদ কর্মীদের দিয়ে এই জীবাণুনাশক স্যানিটাইজার স্প্রে করানো হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এবিষয়ে কেতুগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও বনমালি রায় জানিয়েছেন, আগে থেকেই আমাদের ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছিল। গ্রাম সম্পদ ও ভিসিডি কর্মীরা এই কাজ করছিলেন। ফের প্রতিটি এলাকার স্কুল, পঞ্চায়েত দপ্তর সহ সরকারি অফিসগুলিতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে। পাশাপাশি যে গ্রামে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে, সেখানেও যাতে দমকল এসে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তার চেষ্টাও করা হচ্ছে।

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেতুগ্রাম-১ ব্লকের মোট সাতটি পঞ্চায়েতেই সমস্ত উচ্চবিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, পঞ্চায়েত দপ্তর সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসগুলিতেই জীবাণুনাশক স্যানিটাইজার স্প্রে করা হবে। এরজন্য ব্লকের গ্রামসম্পদ এবং ভিসিডি কর্মী নিয়ে মোট ১৩০ জনকে ডেকে কীভাবে স্প্রে করতে হবে, তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার কারণ এইসব অফিসগুলিতে বিভিন্ন কাজে সারাদিন প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন।

এদিকে কেতুগ্রামের বাদশাহী সড়ক লাগোয়া করোনা আক্রান্ত ওই যুবতীর গ্রামেও কড়া পুলিস পাহারা চলছে। প্রতিবেশী যুবতীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর আসতেই এমনিতেই গ্রামে প্রতিটি বড়িতে দরজায় খিল এঁটেছেন বাসিন্দারা। আতঙ্কে কেউ বাড়ির জানালা দিয়েও একটি বারের জন্য তাকাচ্ছেন না। ব্লক স্বাস্থকেন্দ্রের আশা কর্মীরা গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে কাউন্সেলিং করছেন। ওই যুবতীর সংস্পর্শে কারা এসেছেন তার পুরো তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ৯ মে ওই যুবতী গ্রামে এসে ঠিক কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন তাও খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।

Loading

Leave a Reply