প্রাথমিকভাবে পৌর নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হয়ে গেছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি, কলকাতা ও হাওড়া কর্পোরেশনের ভোট ধরে প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আজ সংশ্লিষ্ট দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়ার, তিন জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন। কলকাতার ভোটের নোডাল অফিসার দক্ষিন ২৪ পরগনার জেলা শাসক।সূত্রের খবর, ১২ ই এপ্রিল এই দুই কর্পোরেশনে ভোট করতে চায় সরকার। যদিও, দিনের শেষে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ভোটের দিনক্ষন এখনো চূড়ান্ত নয়। কমিশন ভোট নিয়ে এখনো জানতে চায় নি। কমিশন চিঠি দিলে সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে কমিশনকে জানাবে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে মোট ১১২ টি মেয়াদ উত্তীর্ন পুরসভায় ভোট চেয়ে রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দু দফায় ভোট করতে চাই রাজ্য। এপ্রিলের মাঝামাঝি প্রথমে কলকাতা ও হাওড়া কর্পোরেশনের ভোট করে, এপ্রিলে রমজান মাস শুরুর আগে দ্বিতীয় দফায় ১১২ টি পুরসভা ও ৪ কর্পোরেশনে ভোট করতে চাইছে রাজ্য। রাজ্য যেসব পুরসভার সীমানা পুনর্বিন্যাস চেয়েছিল, তা সম্পূর্ন করেই পুরসভা ভিত্তিক আসন সংরক্ষন করা হয়েছে। যদিও, সেই সংরক্ষন তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মামলা হয়েছে আদালতে। বিভিন্ন জট খুলে শেষপর্যন্ত কতগুলি পুরসভায় ভোট হবে, তা এখনো চূড়ান্ত নয়।
অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনার আট পুরসভার ভোট এখন করতে নাকি চাইছে না সরকার। ঐ পুরসভাগুলিকে একত্রিত করে কর্পোরেশন গড়ে বছরের শেষে ভোট হতে পারে। আসানসোল, ও বিধাননগর কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে পূজোর আগে। ফলে, ওই দুটি কর্পোরেশনেও এখন ভোট না হওয়ার সম্ভবনা রয়ছে। তবে, সরকারের মনোভাব আঁচ করেই, পুরভোটের প্রস্তুতিতে কোন ঢিলেমি করতে চায় না কমিশন। সেই লক্ষ্যেই আজ প্রাথমিক আলোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট তিন জেলা শাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাশ। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দুই কর্পোরেশনের ভোট করতে প্রায় কুড়ি হাজার নিবার্চন কর্মী দরকার। তাছাড়া, নিবার্চন পরিচালনার জন্য যানবাহন ও আনুষাঙ্গিক বিষয়ে আলোচনা সারতেই এই বৈঠক। এখন দেখার এই বৈঠকের পর কতটা পুরভোট নিয়ে তৎপর হয় দপ্তর।
